সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই গর্ব অনুভব করি। এই পদটাকে কিভাবে উপভোগ করবো সেই চিন্তা করি না, মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম আমার কাছে সেটাই বিবেচ্য। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারি। আপনাদের বেতন-ভাতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই হয়। কাজেই তাদের সেবা করা, কল্যাণ করা, আপনাদের দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ আর্র অনেকে অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি কিন্তু নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার।’ সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইবো আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব, এটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই। সেটাই আমার কাছে বড়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি। এখনও বহুকাজ বাকী। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। আগামী ৩০ তারিখে যদি তারা ভোট দেয় তাহলে আবার আসতে পারবো এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারবো। আমি একথা সবসময় চিন্তা করি যে, আমার বাবা এদেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তাঁর মনে যে আকাঙ্খা ছিল মানুষকে নিয়ে, সেই আকাঙ্খা যেন আমি পূরণ করে যেতে পারি। যেন তাঁর আত্মা শান্তি পায়- বাংলাদেশের মানুষ আজ আর কষ্টে নেই তাঁরা দুবেলা পেট ভরে খেতে পারছে।
বিদায় বেলায় কবি সুকান্তের ভাষায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল? এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
Leave a Reply